প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর
![]() |
Ancient Indian History SAQ |
1. সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় কেন?
উত্তর: সিন্ধু নদের তীরে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ায় প্রথমেই সভ্যতাকে সিন্ধু সভ্যতা বলা হলেও পরবর্তীকালে হরপ্পা অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সভ্যতায় আবিষ্কৃত অন্যান্য স্থানের তুলনায় হরপ্পা প্রাপ্ত নিদর্শনগুলি সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অনেক বেশি রয়েছে। 2. হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তর: হরপ্পা সভ্যতা ছিল বিশ্বের প্রথম নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। এই সভ্যতার নগর পরিকল্পনার দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল 3. আর্যরা ভারতে কোথায় প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল?
উত্তর: আর্যরা ভারতে প্রথম খুব সম্ভবত আফগানিস্তান ও উত্তর পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে এবং সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে তাদের প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল। 4. ঋক বৈদিক যুগে আর্য সমাজে নারীর অবস্থান কেমন ছিল?
উত্তর: ঋক বৈদিক যুগে নারীরা যথেষ্ট সম্মানের অধিকারী ছিলেন। গৃহস্থলী ব্যাপারে নারী ছিল সর্বময়ী। বাল্যবিবাহ, বিধবা বিবাহ ও পর্দা প্রথার প্রচলন ঋক বৈদিক যুগের সমাজে ছিল না এবং প্রচলিত পণপ্রথা অনুসারে কন্যার পিতা পণ পেতেন।এই যুগে নারীরা বিদ্যাচর্চায়, সামাজিক বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে, এমনকি যুদ্ধেও অংশ নিতেন এবং উপযুক্ত জীবনসঙ্গী পছন্দ করতে পারতেন। গার্গী, লোপামুদ্রা, অপালা ও মৈত্রেয়ী প্রমুখ নারীরা সমাজে উচ্চস্থান পেয়েছিলেন।
5. ঋক বৈদিক যুগে আর্যদের অবসর বিনোদন কেমন ছিল?
উত্তর: ঋক বৈদিক যুগে আর্যরা নানারকম আমোদ-প্রমোদের মাধ্যমে তাদের অবসর সময় কাটাত। পাশাখেলা ও মল্লযুদ্ধ ছিল তখন খুব জনপ্রিয়। উচ্চ শ্রেণীর মানুষেরা গান বাজনা শিকারের মধ্য দিয়ে অবসর যাপন করত এবং নারীরা নাচ গানের মধ্য দিয়ে তাদের অবসর-জীবন বিনোদন করত।6. বৌদ্ধধর্মে আর্যসত্য কী?
উত্তর: বুদ্ধদেব বলেছিলেন জগত দুঃখময় এবং এই দুঃখ থেকে মুক্তির জন্য তিনি যে চারটি সত্যকে উপলব্ধি করতে বলেছিলেন তা আর্য সত্য নামে পরিচিত। এই চারটি আর্য সত্য হল1. জগতে দুঃখ আছে।
2. দুঃখের কারণ আছে। জাগতিক কামনাবাসনা ও আসক্তি হল মানুষের যাবতীয় দুঃখের কারণ।
4. দুঃখের কারণ গুলি ধ্বংসের উপায় বা নির্দিষ্ট পথ (মার্গ) রয়েছে।
7. অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী?
উত্তর: দুঃখময় পৃথিবীতে দুঃখের হাত থেকে মুক্তি লাভের জন্য অর্থাৎ নির্বাণ লাভের উপায় হিসাবে গৌতমবুদ্ধ তার অনুগামীদের আটটি মার্গ বা পথ অনুসরণের উপদেশ দিয়েছিলেন আটটি অষ্টাঙ্গিক মার্গ নামে পরিচিত।8. বৌদ্ধধর্মে নির্বাণ লাভ কী?
উত্তর: বৌদ্ধধর্ম অনুসারে নির্বাণ হল শ্বাশ্বাত শান্তি অর্থাৎ মোক্ষলাভ। এই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দেখানো অর্থাৎ জীবনের সমস্ত রকমের আকাঙ্খা ও কামনা-বাসনার অবসান এবং জন্মচক্র থেকে মুক্তি।9. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সার্বভৌম সম্রাট বলা হয় কেন?
উত্তর: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগদের নন্দ বংশের রাজার ধননন্দকে পরাজিত করে মগধে মৌর্য রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। মগধের সিংহাসনে বসে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সাম্রাজ্যের সীমা ভারতের প্রায় সর্বত্র প্রসারিত করেন। তার সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল পশ্চিম ভারতের গুজরাট, পাঞ্জাব, অবন্তী, মহারাষ্ট্র, কোঙ্কন অঞ্চল এবং দক্ষিনে গোদাবরী নদী অতিক্রম করে মহীশূর মাদ্রাজ পর্যন্ত। 10. মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?
উত্তর: মেগাস্থেন্স ছিলেন ভারতে আগত প্রথম গ্রীক দূত। তিনি সিরিয়ার গ্রিক রাজা সেলুকাসের রাষ্ট্রদূত হয়ে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। দীর্ঘকাল ভারতে অবস্থান করার সুবাদে মেগাস্থিনিস সমকালীন ভারত সম্পর্কে একটি সুন্দর বিবরণ তাঁর ইন্দিকা গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন। আরও পড়ুন:
11. কনিষ্ককে দ্বিতীয় অশোক বলা হয় কেন?
উত্তর: প্রথম জীবনে অশোক নিষ্ঠুর প্রকৃতির ছিলেন। কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী উপগুপ্তর কাছ থেকে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধপ্রিয় রাজা পরিণত হলেন পরম মানব প্রেমিকে। অশোক বুদ্ধের বাণী প্রচারে মধ্যে দিয়ে জীবনের অধিকাংশ সময় অবহিত করেন এবং রাজধানী পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি আহবান করেন।12. স্কন্দগুপ্তকে 'ভারতের রক্ষাকারী' বলা হয় কেন?
উত্তর: গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্ত সিংহাসনে আরোহনের অল্প কিছুকালের মধ্যেই দূর্ধর্ষ হুনজাতির একটি শাখা হিন্দুকুশ পর্বতমালা অতিক্রম করে গান্ধারে প্রবেশ করে। স্কন্দগুপ্ত এই হুন আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য অগ্রসর হন এবং তাদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন।13. বাংলার ইতিহাসে শশাঙ্কের স্থান গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: শশাঙ্ক প্রথম রাজা যিনি বাংলাকে প্রথম স্বাধীন রাজ্য ও সার্বভৌম শক্তিতে পরিণত করেন। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের সুযোগে, আনুমানিক 606 খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্ক গৌড়ে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলায় নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং এরপর তিনি বাংলার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তারে উদ্যোগ নেন। একে একে তিনি দক্ষিনে দণ্ডভুক্তি, উৎকল এবং পশ্চিমে মগধকে নিজের সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।14. মাৎস্যন্যায় কাকে বলে?
উত্তর: কোন পুকুরের বড় মাছ সুযোগ পেলে যেমন ছোট ছোট মাছগুলোকে খেয়ে ফেলতে চাইলে ছোট মাছগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পালিয়ে যায় ঠিক তেমনি শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় 100 বছর ধরে বাংলায় যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সামাজিক অনাচার দেখা যায়, সে অবস্থাকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়।15. লক্ষণ সেনের রাজসভায় পঞ্চরত্ন কারা ছিলেন?
উত্তর: লক্ষণ সেনের রাজসভায় পঞ্চরত্ন ছিলেন - জয়দেব, ধোয়ী,শরণ, গোবর্ধন ও উমাপতিধর।16. পল্লব যুগের মন্দির গুলি কিভাবে নির্মিত হয়েছিল?
উত্তর: পল্লব যুগের মন্দির গুলি দুইভাবে নির্মিত হয়েছিল। যেমন- আরও দেখুন:
Competitive Exam Mock Test
Number of questions (MCQ) – 10 Language – Bengali