Ancient History of India in Bengali

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর,Ancient History of India in Bengali

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর

 

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর:


1. আর্যদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল?

উত্তর: আর্যদের যে শাখাটি সর্বপ্রথম ভারতে বসতি গড়ে তুলেছিল, তাদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলেন তাদের আদি বাসস্থান পূর্ব ইউরোপে, কেউ বলেন দক্ষিণ রাশিয়া আবার কেউ বলেন মধ্য এশিয়ায়
 
যাইহোক, প্রথম জীবনে আর্যরা যাযাবর জাতি ছিল এবং তারা কোন স্থানে দীর্ঘকাল বসবাস করতে পারেনি। ঘোড়া ছিল তাদের প্রধান বাহন। এইভাবে নানা স্থানে ঘুরতে ঘুরতে ইরান আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব 2000 থেকে 1500 আব্দের মধ্যে কোন একসময় তারা ভারতে প্রবেশ করে বসবাস শুরু করে।
 

2. আর্য সভ্যতাকে বৈদিক সভ্যতা বলা হয় কেন?

উত্তর: নগরের ধ্বংসাবশেষ থেকে আমরা হরপ্পা সভ্যতার পরিচয় পেয়েছি, কিন্তু আর্য সভ্যতার সেরকম কোনো ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ভারতে আর্যদের সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের একান্তভাবেই তাদের সৃষ্টি সাহিত্য বেদের উপর নির্ভর করতে হয় এবং আর্য সভ্যতা বেদকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তাই আর্য সভ্যতা কে বৈদিক সভ্যতা বলা হয়।
 

3. বেদকে শ্রুতি বলা হয় কেন?

উত্তর: আক্ষরিক অর্থে বেদ লেখা হওয়ার আগে বহু শত বছর মুখে মুখেই শোনা শেখার মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। হিন্দুগণের বিশ্বাস বেদ 'নিত্য' 'অপৌরুষেয়' অর্থাৎ বেদ মানুষের সৃষ্টি নয়, এটি ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত বাণী।
 
এই বাণী বহুবছর শ্রুত হয়েছিল এবং গুরুর কাছ থেকে শিষ্যরা তা শুনে শুনে মুখস্থ করে নিতেন, তাই বেদের অন্য নাম শ্রুতি
 

4. বেদের কয়টি অংশ কী কী?

উত্তর: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস তথি অর্থসামাজিক জীবনের বর্ণনা যেসব গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্য তার মধ্যে অন্যতম। বেদের সংখ্যা হল চারটি ঋকবেদ, সামবেদ, যজুবেদ অথর্ববেদ
 
প্রতিটি বেদের আবার চারটি ভাগ রয়েছে। যথা
 
1. সংহিতা: দেবতার উদ্দেশ্যে মন্ত্র স্তোএ পদ্যে লেখা আছে বেদের সংহিতা অংশে।
 
2. ব্রাহ্মণ: যাগযজ্ঞের নিয়ম কানুন গদ্যে রচিত রয়েছে বেদের ব্রাহ্মণ অংশে
 
3. আরণ্যক: বৃদ্ধ বয়সে সংসার ধর্ম পরিত্যাগ করে অরণ্যবাসী হয়ে ধর্মজীবন যাপনের প্রয়োজনীয় বিধান রয়েছে বেদের উপনিষদ অংশে।
 
4. উপনিষদ: আরণ্যকের দার্শনিক তত্ত্ব পরিণতিলাভ করেছে উপনিষদে।
 

5. উপনিষদকে বেদান্ত বলা হয় কেন?

উত্তর: ঋকবেদ, সামবেদ, যজুবেদ অথর্ববেদ প্রতিটি বেদ চারটি অংশে বিভক্ত। যথা- সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক উপনিষদ উপনিষদগুলি বেদের অন্তিম বা শেষ অংশ, তাই উপনিষদের আরেক নাম বেদান্ত
 

6. চতুরাশ্রম কী?

উত্তর: বৈদিক সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল চতুরাশ্রম, যা জীবনের চারটি স্তরকে বোঝাত। এই আশ্রমগুলি ছিল যথাক্রমে ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বাণপ্রস্থ সন্ন্যাস
 
ব্রহ্মচর্য: জীবনের এই পর্যায়ে আর্য বালকেরা গুরুগৃহে বসবাস করত এবং সেখান সংযম সদাচারের সঙ্গে বিদ্যাশিক্ষা করত।
 
গার্হস্থ্য: শিক্ষা শেষে আর্য যুবক ঘরে ফিরে এসে বিয়ে করে সংসার ধর্ম পালন করত।
 
বাণপ্রস্থ: কবর অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী ব্যাপার থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ঈশ্বরচিন্তা কাল।
 
সন্ন্যাস: জীবনের শেষ পর্বে সংসারের সব কিছু মায়া ত্যাগ করে ঈশ্বর মুখী হয়ে সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করতে হতো।
 

7. জৈনধর্মে পঞ্চমহাব্রত কী?

উত্তর:  জৈন ধর্মগুরু পার্শ্বনাথের ধর্মের মূলমন্ত্র ছিল চারটি। যথা-
1. অহিংসা অর্থাৎ হিংসা না করা।
 
2. সত্য অর্থাৎ মিথ্যা না বলা।
 
3. অচৌর্য অর্থাৎ চুরি না করা।
 
4. অপরিগ্রহ অর্থাৎ পরদ্রব্য গ্রহণ না করা বা দান গ্রহণ না করা।
 
পরবর্তীকালে মহাবীর এর সঙ্গে ব্রহ্মচর্য অর্থাৎ জিতেন্দ্রিয়তা নামে আরও একটি ব্রত যোগ করেন। এটি পঞ্চমহাব্রত নামে খ্যাত এই পাঁচটি নীতিই জৈনধর্মের সারকথা।
 

8. জৈনধর্মে ত্রিরত্ন কী?

উত্তর: মহাবীর আত্মার মুক্তির জন্য তিনটি পন্থার ওপর গুরুত্ব দেন। এগুলি হল সৎকর্ম, সদ্ব্যবহার সৎজ্ঞান মহাবীর জন্মান্তর কর্মফলের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই ত্রিরত্ন পালনের উপদেশ দিয়েছিলেন।
 

9. শ্বেতাম্বর দিগম্বর কাদের বলা হয়?

উত্তর: মহাবীর জৈনদের বসন ্যাগ অর্থাৎ পূর্ণ বন্ধনমুক্তির শিক্ষা দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে এই ব্যাপারে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে জৈনরা শ্বেতাম্বর দিগম্বর নামে দুটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায়।
 
যাঁরা সাদা কাপড় পড়েন তাঁদের শ্বেতাম্বর বলা হয় এবং যাঁরা সম্পূর্ণ বন্ধন মুক্তির জন্য পরিধেয় বস্ত্র পর্যন্ত ত্যাগ করেন তাঁদের দিগম্বর বলা হয়। এই দুই সম্প্রদায়ের অনেক আচরণগত পার্থক্য থাকলেও তাঁদের ধর্মবিশ্বাসে মৌলিক কোন বিরোধ নেই।
 
    আরও পড়ুন:
1. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস – Click Here
 
2. সুলতানি শাসন প্রশ্ন উত্তর – Click Here
 
3. মোগল সাম্রাজ্য প্রশ্ন উত্তর – Click Here
 
4. ভারতের ইতিহাস আধুনিক যুগ – Click Here

10. বৌদ্ধ ধর্মে মধ্যপন্থা কী?

উত্তর: কামনা-বাসনার হাত থেকে মুক্তি পেতে বুদ্ধদেব তাঁর অনুগামীদের ধন সঞ্চয় না করার উপদেশ দেন। এই কারণে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের ভিক্ষা দ্বারা খাদ্য সংগ্রহের আদেশ দেয়া হয়। বৌদ্ধধর্ম মতে, চরম ভোগ বিলাস চরম কৃচ্ছসাধনা এই দুই পন্থাই আত্মার উন্নতিতে বিঘ্ন ঘটায়। এর জন্য প্রয়োজন ত্যাগ সংযম।
 
তাই এই দুই চরম পন্থা পরিত্যাগ করে 'অষ্টাঙ্গিক মার্গ' অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ মধ্যপন্থা অবলম্বনে কামনা-বাসনা হাত থেকে মুক্তি পেতে পারে।
 

11. মহাভিনিষ্ক্রমণ কী?

উত্তর: 29 বছর বয়সে গৌতম বুদ্ধের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। এইভাবে সংসারের মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন দেখে গৌতম বুদ্ধ ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। গৌতম বুদ্ধ বার্ধক্য, জরা মৃত্যুর হাত থেকে মানুষের  মুক্তি জন্য স্ত্রী গোপা, নবজাতক পুত্র রাহুল এবং আত্মীয়দের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে এক গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে তিনি সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেন। গৌতমের এই গৃহত্যাগকে বৌদ্ধশাস্ত্রে বলা হয়েছে মহাভিনিষ্ক্রমণ
 

12. অর্থশাস্ত্র কী?

উত্তর: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী কৌটিল্য বা চাণক্য অর্থশাস্ত্র রচনা করেন। যে শাস্ত্রে পৃথিবীর ভূমি সম্পদ লাভ এবং তা পালনের উপায় রয়েছে তা হল অস্ত্রশস্ত্র 15 টি অধিকরণে বিভক্ত এই গ্রন্থটি মৌর্যযুগের  ঐতিহাসিক এক দলিলরূপে স্বীকৃত।
 
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ওপর লেখা এই বইটিতে মৌর্য শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন দিক - রাজস্ব ব্যবস্থা, রাজকর্তব্য, সমাজতত্ত্ব পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদির বিধান রয়েছে।
 

13. অশোকের জনকল্যাণমূলক কার্যগুলি কী কী ছিল?

উত্তর: সম্রাট অশোক যেসকল জনকল্যাণ মূলক কার্যাবলী করেছিলেন সেগুলো হল
 
1. রাজপথ নির্মাণ, পথের পাশে বৃক্ষরোপণ, কূপ খনন, মানুষ পশুর জন্য চিকিৎসালয় স্থাপন এবং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ঔষধি চারা গাছ রোপন করা হয়।
 
2. সম্রাটের অভিষেক বার্ষিকীতে কারাগার থেকে বন্দি-মুক্তি ফৌজদারি দণ্ডবিধির কঠোরতা হ্রাস ইত্যাদি ব্যবস্থা হয়।
 
3. দরিদ্রদের জন্য সরকারি ত্রাণ এর বন্দোবস্ত করা হয়, এছাড়াও ব্রাহ্মণ, শ্রমণ বৃদ্ধদের উদ্দেশ্যে তিনি দানের ব্যবস্থা করেন।
 

14. অশোকের জীবনে কলিঙ্গ যুদ্ধের কী প্রভাব ছিল?

উত্তর: সিংহাসনে আরোহন করে অশোক পূর্বপুরুষদের চিরাচরিত রাজ্যবিস্তার নীতি অনুসরণ করে প্রতিবেশী কলিঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করলে, কলিঙ্গ বাসীরা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেও শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়।
 
এই যুদ্ধে দেড় লক্ষ কলিঙ্গ বাসি এক লক্ষ সেনা প্রাণ হারায় ফলে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অশোক কলিঙ্গ রাজ্যকে মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করলেও কলিঙ্গ যুদ্ধের বিভৎস হত্যালীলা তাঁকে নিদারুণভাবে ব্যতীত করেছিল।
 
যাইহোক, কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোক বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নেন এবং মৌর্য  সাম্রাজ্যের চিরাচরিত আক্রমণাত্মক বিজয়নীতি পরিত্যাগ করে ধর্ম বিজয় নীতি গ্রহণ করেন।
 

15. কনৌজের ধর্মসম্মেলন কী?

উত্তর: 642 খ্রিস্টাব্দে হর্ষবর্ধন কনৌজে হিউয়েন সাঙ-এর সম্মানার্থে একমাস ব্যাপী একটি ধর্ম সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এই সম্মেলনে 20 জন রাজা, 4000 বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং 3000 জৈন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি স্বর্ণনির্মিত বুদ্ধমূর্তিসহ 500 সুসজ্জিত হাতির এক বিরাট শোভাযাত্রা বের হত। এই শোভাযাত্রাটি নগরের বাইরে একটি নবনির্মিত মন্দিরের সামনে এসে শেষ হত।
 
প্রথমে সম্রাট মূর্তির পূজা করতেন এবং সমবেত সকলে ভোজে  আপ্যায়িত করতেন। তারপর ধর্মসভার অধিবেশন বসত। উপস্থিত পণ্ডিতগণ ধর্মালোচনায় অংশগ্রহণ করতেন। অতিথি হিউয়েন সাঙ সেখানে মহাযান মতের ব্যাখ্যা করেন।
 
  আরও দেখুন:
Competitive Exam Mock Test
Number of questions (MCQ) – 10    Language – Bengali
 
 1.  For Gk Mock Test - Click Here
 
 2.   For History Mock Test - Click Here
 
 3.   For Geography Mock Test- Click Here
 
 4.   For Polity Mock Test - Click Here

16. হিউয়েন সাঙ কে ছিলেন?

উত্তর: হিউয়েন সাঙ এর প্রকৃত নাম ছিল য়ুয়ান চোয়াঙ। তিনি যখন ভারত অভিমুখে যাত্রা করেন তখন চিন দেশের বিদেশযাত্রা ছিল নিষিদ্ধ। তাই সরকারি আইনকে ফাঁকি দিয়ে একজন পালাতকের মত তাকে দেশের বাইরে যেতে হয়েছিল।
 
হিউয়েন সাঙ হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে ভারতে আসেন এবং তাঁর ভারত আগমনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রভু বুদ্ধ বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।
 
তাঁর রচিত চিনা ভাষায় সি-ইউ-কিগ্রন্থটি প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের এক মূল্যবান উপাদান। তাঁর বর্ণনা থেকে জানা যায় কৌনজ নগরী উত্তর ভারতের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এবং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে।
 
16 বছর পর ভারত থেকে বহু বুদ্ধমূর্তি এবং 657 টি ভারতীয় পাণ্ডুলিপি নিয়ে তিনি স্বদেশে ফিরে পেয়েছিলেন এক অভাবনীয় অভ্যর্থনা এবং দেশের গৌরব বলে তিনি সম্মানিত হন।
 

17. কৈবর্ত বিদ্রোহ কি?

উত্তর: দ্বিতীয় মহিপালের রাজত্বকালে দিব্য বা দিব্যকের নেতৃত্বে বরেন্দ্রভূমি অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে কৈবর্তরা বিদ্রোহ করে। সন্ধ্যাকর নন্দীর 'রামচরিত' কাব্য এই বিদ্রোহের বিবরণ পাওয়া যায়।
 
দ্বিতীয় মহিপালকে পরাজিত নিহত করে তিনি উত্তরবঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করে। দিব্যকের মৃত্যুর পর  তাঁর ভাই রুদ্রোক এবং তারপর তাঁর পুত্র ভীম বরেন্দ্রভূমি শাসন করেন।
 
পাল বংশের এই দুর্দিনে সাম্রাজ্য রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন দ্বিতীয় মহিপালের ভাই রামপাল এবং ভীমের রাজত্বতেই রামপাল বরেন্দ্রভূমি পুনরুদ্ধার করেন।
 

18. বাংলায় কিভাবে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হয়?

উত্তর: প্রথম জীবনে লক্ষণ সেন যথেষ্ট সামরিক খ্যাতির অধিকারী হয়েছিলেন। পিতামহ বিজয় সেনের আমলে তিনি গৌড়, কলিঙ্গ কামরূপের রণক্ষেত্রে অপূর্ব বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি কনৌজের গাহড়বাল রাজাকেও পরাজিত করেছিলেন।
 
লক্ষণ সেনের রাজত্বের শেষে দিকে দক্ষিণ পূর্ব বাংলায় কিছু কিছু অভ্যন্তরীণ গোলযোগ দেখা দেয়। এই সময় ভারতে মুসলমান বিজেতা মহম্মদ ঘুরীর অনুচর মহম্মদ বক্তিয়ার খলজি মগধ অধিকার করে  ঝাড়খণ্ডের অরণ্যের মধ্য দিয়ে হঠাৎ নদিয়ায় উপস্থিত হন। তার এই অতর্কিত আক্রমণ প্রতিরোধ করতে না পেরে বৃদ্ধ লক্ষণ সেন পূর্ববাংলায় পালিয়ে যান
 
এইভাবে নদিয়া অধিকারের পর বক্তিয়ার খলজি উত্তরবঙ্গ অধিকার করেন এবং লক্ষণাবতীতে রাজধানী স্থাপন করেন।

 
19. সিল্ক রুট কী?

উত্তর: কুষাণ সাম্রাজ্যের পশ্চিমাংশ অর্থাৎ মধ্য এশিয়া আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে যে রাস্তা ধরে রোম সমাজের সঙ্গে চিনের ব্যবসাবাণিজ্য চলত তাকে সিল্ক রুট বা রেশম পথ বলা হয়।
 

20. গান্ধার শিল্পরীতি কী?

উত্তর: শকদের আমলে গান্ধার তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গৌতমবুদ্ধ বৌদ্ধধর্মকে কেন্দ্র করে গ্রিক, রোমক ভারতীয় শিল্পরীতি সংমিশ্রণে এক নতুন শিল্পরীতি গড়ে ওঠে, যা গান্ধার শিল্পরীতি নামে পরিচিত।
 
কুষান আমলে এই শিল্পরীতি তার বিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল। বুদ্ধ, বোধিসত্ত্ব বৌদ্ধধর্ম সংশ্লিষ্ট মূর্তি নির্মাণ ছিল গান্ধার শিল্পকলার বিষয়বস্তু। গান্ধার শিল্পরীতিতে গ্রিক দেবতা অ্যাপোলোর অনুকরণে অসংখ্য বুদ্ধমূর্তির নির্মিত হয়েছিল।
 
 
Theme images by chuwy. Powered by Blogger.