কোল বিদ্রোহ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা
কোল বিদ্রোহ:
বিহারের ছোটনাগপুর অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতি গোষ্ঠী কোল নামে পরিচিত। কোলরা আবার মুন্ডা, হো, ওঁরাও প্রভৃতি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। তারাই ইংরেজ, জমিদার ও দেশীয় মহাজনদের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছিল তা ইতিহাসে কোল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
কোল বিদ্রোহের কারণ:
1. রাজস্ব বৃদ্ধি: ইংরেজ কোম্পানির ছোটনাগপুর অঞ্চল দখল করার পর সেখানে নতুন নতুন ভূমি রাজস্ব নীতির ফলে কোলরা ক্ষুব্ধ হয় এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
2. জীবিকা সমস্যা: ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারা তাদের চিরাচরিত অরণ্য অধিকার হারায় ফলে তাদের জীবিকা সমস্যা দেখা দেয়।
3. জমিদার ও মহাজনদের শোষন ও অত্যাচার: ছোটনাগপুর অঞ্চলে মহাজন' জমিদাররা বিভিন্নভাবে কোলদের উপর শোষণ ও অত্যাচার চালায়। তারা অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তির জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
4. নগদ খাজনা আদায়: সরকারও জমিদাররা কোলদের নগদ খাজনা দিতে বাধ্য করে। ফলে কোলরা নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে মহাজনদের দ্বারা প্রতারিত ও শোষিত হয়।
বিদ্রোহের ব্যাপ্তি: 1831 খ্রিস্টাব্দে রাচি অঞ্চলে কোল সম্প্রদায় প্রথম বিদ্রোহ করে এবং 1831-32 খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহ ব্যাপক আকার ধারণ করে। রাচি, হাজারীবাগ, সিংভূম ও পালামৌ প্রভৃতি অঞ্চলে কোল বিদ্রোহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চাষী, কামার, কুমোর, গোয়াল প্রভৃতি নিম্নবর্গের মানুষ কোলদের সঙ্গে এই বিদ্রোহে যোগ দেয়।
বিদ্রোহীরা তীর-ধনুক, বর্শা, বল্লম, কুড়ুল প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইংরেজ বাহিনীর মুখোমুখি হয়। ইংরেজ কর্মচারীর, জমিদার ও অত্যাচারী দিকু ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করে এবং তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বিদ্রোহের নেতা: কোল বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব ছিলেন বুদ্ধ ভগত, জোয়া ভগত, সুই মুন্ডা ও ঝিন্দিরাই মানকি প্রমূখ।
বিদ্রোহের দমন: আধুনিক অস্ত্র সজ্জায় সজ্জিত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অসম লড়াইয়ে কোলরা পরাজিত হয়। নরনারী ও শিশুসহ অসংখ্য কোল নিহত হয় এবং কোল বিদ্রোহ দমিত হয়।
কোল বিদ্রোহের গুরুত্ব: মাতৃভূমি রক্ষায় কোলদের অসম লড়াই ব্যর্থ হলেও এ বিদ্রোহের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বিদ্রোহের ফলে সরকার -
1. ছোটনাগপুর অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি নামে একটি নতুন অঞ্চল গঠন করে।
2. এই অঞ্চলে জমিদারদের হাত থেকে জমি গ্রামপ্রধানদের হাতে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
3. ব্রিটিশ সরকার এই অঞ্চলে তাদের আইন-কানুন কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিহারের ছোটনাগপুর অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতি গোষ্ঠী কোল নামে পরিচিত। কোলরা আবার মুন্ডা, হো, ওঁরাও প্রভৃতি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। তারাই ইংরেজ, জমিদার ও দেশীয় মহাজনদের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছিল তা ইতিহাসে কোল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
কোল বিদ্রোহের কারণ:
1. রাজস্ব বৃদ্ধি: ইংরেজ কোম্পানির ছোটনাগপুর অঞ্চল দখল করার পর সেখানে নতুন নতুন ভূমি রাজস্ব নীতির ফলে কোলরা ক্ষুব্ধ হয় এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
2. জীবিকা সমস্যা: ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারা তাদের চিরাচরিত অরণ্য অধিকার হারায় ফলে তাদের জীবিকা সমস্যা দেখা দেয়।
3. জমিদার ও মহাজনদের শোষন ও অত্যাচার: ছোটনাগপুর অঞ্চলে মহাজন' জমিদাররা বিভিন্নভাবে কোলদের উপর শোষণ ও অত্যাচার চালায়। তারা অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তির জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
4. নগদ খাজনা আদায়: সরকারও জমিদাররা কোলদের নগদ খাজনা দিতে বাধ্য করে। ফলে কোলরা নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে মহাজনদের দ্বারা প্রতারিত ও শোষিত হয়।
বিদ্রোহের ব্যাপ্তি: 1831 খ্রিস্টাব্দে রাচি অঞ্চলে কোল সম্প্রদায় প্রথম বিদ্রোহ করে এবং 1831-32 খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহ ব্যাপক আকার ধারণ করে। রাচি, হাজারীবাগ, সিংভূম ও পালামৌ প্রভৃতি অঞ্চলে কোল বিদ্রোহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চাষী, কামার, কুমোর, গোয়াল প্রভৃতি নিম্নবর্গের মানুষ কোলদের সঙ্গে এই বিদ্রোহে যোগ দেয়।
বিদ্রোহীরা তীর-ধনুক, বর্শা, বল্লম, কুড়ুল প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইংরেজ বাহিনীর মুখোমুখি হয়। ইংরেজ কর্মচারীর, জমিদার ও অত্যাচারী দিকু ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করে এবং তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বিদ্রোহের নেতা: কোল বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব ছিলেন বুদ্ধ ভগত, জোয়া ভগত, সুই মুন্ডা ও ঝিন্দিরাই মানকি প্রমূখ।
বিদ্রোহের দমন: আধুনিক অস্ত্র সজ্জায় সজ্জিত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অসম লড়াইয়ে কোলরা পরাজিত হয়। নরনারী ও শিশুসহ অসংখ্য কোল নিহত হয় এবং কোল বিদ্রোহ দমিত হয়।
কোল বিদ্রোহের গুরুত্ব: মাতৃভূমি রক্ষায় কোলদের অসম লড়াই ব্যর্থ হলেও এ বিদ্রোহের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বিদ্রোহের ফলে সরকার -
1. ছোটনাগপুর অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি নামে একটি নতুন অঞ্চল গঠন করে।
2. এই অঞ্চলে জমিদারদের হাত থেকে জমি গ্রামপ্রধানদের হাতে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
3. ব্রিটিশ সরকার এই অঞ্চলে তাদের আইন-কানুন কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নেয়।